ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কি? এগুলোর সুবিধা-অসুবিধা কি কি?
April 25, 2022 2022-06-09 21:43ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কি? এগুলোর সুবিধা-অসুবিধা কি কি?
ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কি? এগুলোর সুবিধা-অসুবিধা কি কি?
আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং কি ?এবং ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে এগুলো নিয়ে কথা বলবো আজকের পোস্টে
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
আউটসোর্সিং কি ?
আউটসোর্সিং একটি ইংরেজী শব্দ। ইংরেজী Outsourcing শব্দটি এসেছে Outside Resourcing শব্দ থেকে।
outside শব্দের অর্থ বাহিরে অথবা বাহির হইতে। এবং Resourcing শব্দের অর্থ হচ্ছে সংস্থান বা উৎস অথবা উপায়।
অর্থাৎ, আউটসোর্সিং (outsourcing) এর মানে দাঁড়ায় বাহির হতে কোনো কাজ করিয়ে নেওয়া বা রিসোর্স করা।
চলুন কিছু উদাহরণ এর মাধ্যমে আর একটু ভালোভাবে জানা যাক ,
এখন আপনার পক্ষে তো আর সবগুলো কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব হবে না। কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় আপনি জানেন না। সে কারণে আপনি একজন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করে নিলেন অথবা আপনি যেই আর্টিকেলগুলো লিখবেন সেগুলো আপনি না লিখে অন্য একজনের থেকে লিখে নিলেন।
এখন আপনি যদি অন্য কারো থেকে আপনার ওয়েবসাইট বানিয়ে নেন অথবা আর্টিকেলগুলো লিখে নেন, তার মানে হল আপনি আপনার বিজনেসের জন্য আর্টিকেল আউটসোর্স করলেন।
আর যিনি আপনাকে ওয়েবসাইটটি বানিয়ে দিলো অথবা আর্টিকেল লিখে দিলো, তিনি একজন ফ্রিল্যান্সার। উনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করেন। যেমন উনি আপনার আর্টিকেল লিখে দিয়ে অথবা আপনার ওয়েবসাইটটি বানিয়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করলেন।
চলুন আরেকটা উদাহরন দেখে নেই ,
আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
আউটসোর্সিং এর সুবিধা
স্বল্প খরচ
এক্ষেত্রে বড় উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের বিদেশী ব্যাংকে নিরাপত্তা প্রদান করা। বাস্তবিকই বাংলাদেশী টিম বিদেশী অনেক নামি-দামি ব্যাংকের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে নিয়োজিত। কারণ আর কিছুই নয়, বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান কম খরচে দক্ষতার সাথে কাজটি করতে পারছে।
স্থান সংকুলান
আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে কর্মদাতা কে কোন অফিস নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে অবকাঠামো বিভিন্ন সুবিধা যেমন কর্মীর বসার স্থান, উন্নত মানের কম্পিউটার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কোন প্রয়োজন পড়ে না এতে খরচ বেঁচে যায়।
কাজের গতি
বায়ার গণ টাইম জোন এর সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারেন। বিশ্বের এক প্রান্তে যখন রাত অন্য প্রান্তে তখন দিন ফলে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করালে বায়ারগণ যখন ঘুমে বিভোর তখন অন্য প্রান্তে তার কাজটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে। এতে সময়ের সদ্বব্যবহার করা যায়। বায়ারগণ হয়তো সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
আউটসোর্সিং এর অসুবিধাসমূহ
আউটসোর্সিং এর অনেক সুবিধা যেমন আছে, অসুবিধাও তেমন আছে। বর্তমানে ভাষা, সংস্কৃতি ও সময় ব্যবধানের বাঁধা এড়িয়ে আউটসোর্সিং দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়লেও, কিছু সমস্যা থেকেই যায়। আপনি যদি কোনো কাজ আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে করাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
তথ্য চুরির ভয়
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করালে অনেক সময় কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয়তা তৃতীয় পক্ষের দ্বারা ভঙ্গ হতে পারে। বিশেষ করে যখন কোনো প্রতিষ্ঠান এইচআর, পে-রোল ও নিয়োগ সেবাকে আউটসোর্স করে দেয় তখন প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সঠিক কর্মী খুঁজে না পাওয়া
অনেক সময় বায়ারগণ সঠিক আউটসোর্স কর্মী খুঁজে পেতে ব্যর্থ হলে যথা সময়ে তার কাজটি সম্পন্ন নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন। পাশাপাশি নিজস্ব পরিমন্ডলে বিরাট আর্থিক ক্ষতিও ঘটে যেতে পারে।
হিডেন কস্ট
যদিও সার্বিক বিবেচনায় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করানো অর্থসাশ্রয়ী তারপরও এতে কিছু হিডেন কস্ট থাকতে পারে যা পরবর্তীতে বায়ারের খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে বায়ার যখন কোনো বাইরের কোম্পানির সাথে আউটসোর্সিং এর চুক্তি করেন তখন চুক্তির শর্ত মোতাবেক তার বিভিন্ন ধরনের খরচ বেড়ে যেতে পারে।
কাজের মান
আউটসোর্সিং কোম্পানি গুলোকে ভালো ভাবে চলতে হলে মুনাফা সৃষ্টি করতে হয়। বায়ার কর্তৃক কাজের মূল্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকলে এবং সব সময় এই হার একই থাকলে তখন মুনাফা সৃষ্টির জন্য উক্ত কোম্পানির কাছে যে পথটি খোলা থাকে তা হলো খরচ কমানো। আর এটি করতে গিয়ে কাজের মান নেমে যেতে পারে।
পেমেন্ট সমস্যা
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আয়কৃত অর্থ নিজ দেশে উত্তোলন করতে গিয়ে ফ্রিল্যান্সার গণ অনেক সময় নানা ধরনের ঝামেলায় পড়তে পারেন। যেমন, ফ্রিল্যান্সার গণকে বিভিন্ন পেমেন্ট মেথডের মধ্য থেকে তাদের উপযোগী মেথডটি গ্রহণ করতে হয়। অনেক সময় নিজ দেশে ঐ সেবা চালু নাও থাকতে পারে। ফলে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তবে আশার কথা, পেওনিয়ার এর মতো ক্রেডিট কার্ড থাকলে বিশ্বের যেকোনো এটিএম থেকেই উপার্জিত অর্থ উত্তোলন করা যায়।
নিজ দেশের বেকার সমস্যা
আউটসোর্সিং এর অন্যতম বড় একটি অংশ হচ্ছে অফশোর আউটসোর্সিং। অর্থাৎ দূর দেশের কারো সাহায্যে কাজ সম্পাদন করা। কিন্তু এর ফলে স্থানীয় অনেক কর্মীই বেকার হয়ে পড়ছেন। বিশ্বজুড়ে এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন উন্নত দেশের বাসিন্দারা। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর নাগরিকেরা মূলত উন্নত দেশের নাগরিকদের কাজই স্বল্প খরচে করে দিচ্ছে। ফলে এদেশে উলটো অনেকের কর্ম সংস্থান হচ্ছে। কিন্তু আউটসোর্সিং এর বিস্তৃতির সাথে সাথে বাংলাদেশেও যে এই সমস্যা আঘাত হানবে না, তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এখন আসা যাক ফ্রিল্যান্সিং এ-
উৎপত্তি
‘ফ্রিল্যান্সিং’ (Freelancing) শব্দটি ‘ফ্রি’ (Free) এবং ‘ল্যান্স’ (Lance) শব্দ থেকে উদ্ভূত। ‘ফ্রি’ (Free) অর্থ ‘স্বতন্ত্র’ এবং ‘ল্যান্স’ (Lance) অর্থ ‘যন্ত্রপাতি’। সুতরাং বোঝা যায় ‘ফ্রিল্যান্সিং’ (Freelancing) এর অর্থ ‘স্বতন্ত্রভাবে কাজ করা’।
সংজ্ঞা
ফ্রিল্যান্সিং এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আমরা এভাবে বলতে পারি যে ,
স্বাধীনভাবে কাজ করে উপার্জন করাকেই ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বলে ।
মানে নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করাকে ফ্রীলান্সিং বলে।
এ ধরনের পেশাজীবীকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীন পেশাজীবী।
আউটসোর্সিং এর সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর সম্পর্ক
একজন ফ্রীল্যান্সার কোন একটি টাস্ক গ্রহণ করেন এবং বাইরের উৎস (আউটসোর্স ঠিকাদার) কর্তৃক তাকে টাস্কের অর্থ প্রদান করা হয় ।
অন্যদিকে একজন আউটসোর্স চিকাদার ফ্রিল্যান্সারকে কাজ এবং অর্থ প্রদান করেন ।
কাজের ধরন
একজন ফ্রিল্যান্সার একজন স্বতন্ত্র শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। কোনও কাজ করতেই হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা তার নেই। তিনি যখনই চান তখনই কাজটি করতে পারেন। যদি তিনি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ সমাপ্ত করে জমা দেন তবে তিনি বেতন পাবেন অন্যথা তাকে কোনো অর্থ প্রদান করা হবে না।
এদিকে একজন ফ্রিল্যান্সারের নিজের কাজ নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে তিনি যে কাজগুলো চান যে বাইরের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি চাইলে শুধুমাত্র সেই কাজগুলো করতে পারবেন
পারিশ্রমিক
এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সারের তার কাজ অনুযায়ী তাকে অর্থ প্রদান করা হয় তিনি পেমেন্ট অথবা পারিশ্রমিক পান কিন্তু বেতন পান না। যেমন একজন চাকরিজীবী তার মাস শেষে একটা ফিক্সড অ্যামাউন্ট তার বেতন হিসেবে পান। তেমনভাবে কোন ফ্রিল্যান্সার বেতন পান না একজন ফ্রিল্যান্সার তিনি যতখানি কাজ করবেন ঠিক ততখানি তিনি পেমেন্ট/পারিশ্রমিক পাবেন ।
চলুন একটা উদাহরণের মাধ্যমে আরেকটু ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক ।
ধরুন “ক” একজন ওয়েব ডেভলপার এবং “খ” একজন আউটসোর্স ঠিকাদার, এবং তার কয়েকটা ওয়েবসাইট লাগবে। এজন্য তিনি “ক” কে ওয়েবসাইটগুলো বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এবং প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য 200 ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এখন এই জায়গাটাতে “ক” কাজটি করবেন কিনা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে তিনি চাইলে কাজটি নিতে পারেন আবার চাইলে ছেড়ে দিতে পারেন। আর একেই মূলত ফ্রীলান্সিং বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা
১) আপনার অবশ্যই বাধ্যবাধকতা নেই যে কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজ আপনাকে করতেই হবে।
২) এমন কোনো নিয়ম নেই যে আপনাকে অবশ্যই সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা বা সকাল ১০ টা এবং সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে। আপনি যখনই চান কাজটি করতে পারেন।
৩) কেউ আপনার উপর কর্তৃত্ব জারি করতে পারবেন না। আপনি ই আপনার নিজের কর্তা হবেন।
৪) ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবকিছুই নমনীয়। আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আছে।
৫) নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজের রেট বা মূল্য নির্ধারণের স্বাধীনতা ।
৬). কোন নিদ্রিস্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে একই সাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবিধা।
৭) এককভাবে ফ্রিল্যান্স করার পাশাপাশি যে কেউ দলীয়ভাবেও কাজ করতে পারেন, যার ফলশ্রুতিতে কাজের মান আরও উন্নত হয় এবং গতি বৃদ্ধি পায় ।
ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা
ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে তেমন কিছু অসুবিধাও আছে আমাদেরকে সেগুলোর সম্পর্কেও জানা দরকার ঃ
১) ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর কাজ সবসময় পাওয়া যায় না। আপনি যে কাজটি করতে চান তা আপনি সর্বদা খুঁজে না-ও পেতে পারেন।
২) ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোনও নির্দিষ্ট আয় নেই। আপনি এক মাসে ১ লাখ থেকে ১০ হাজার যেকোনো পরিমাণের উপার্জন করতে পারেন। এটি আপনি কতটা কাজ পেতে পারেন, করতে পারেন বা করতে চান তার উপর নির্ভর করে।
৩) দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারের সামনে বা একলা ঘরে থাকতে হয় বলে একাকীত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে, এবং এই একাকীত্ববোধ থেকে আবার বিষন্নতারও সৃষ্টি হতে পারে।
৪) কোন কারনে প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ন করতে না পারলে বা ব্যর্থ হলে তার দায়ভার কর্তৃপক্ষ নেবে না সেক্ষেত্র অসম্পূর্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারকে তার পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হতে হবে এবং প্রোফাইল এ খারাপ রিপোর্ট ও পড়তে পারে । ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে ভাল কাজ পেতে হলে অনেক ধৈর্য্য ধারণ করতে হয় ।
৫) কাজের মাঝখানে বড় ধরনের কোন ভুল হলে তার সমাধান কখোনই কর্তৃপক্ষ বা অন্য কেউ দিতে বাধ্য থাকিবে না ।
ফ্রিল্যান্সিং এ সফলতার জন্য যা বিশেষভাবে লক্ষণীয় সেগুলো হল :
১) ফ্রিল্যান্সাররা স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন , ফলে তাদের কাজের মান এবং আন্তরিকতার ক্ষেত্রে অবশ্যই যথেষ্ট সৎ থাকতে হবে ।
২) ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজটি নেবার পূর্বে ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই কাজটি কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে এবং জমা দেওয়ার ডেডলাইন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে ।
৩) প্রথমদিকে তুলনামূলক কম পারিশ্রমিকেই বিড করা উচিৎ এবং অভিগ্বতা বাড়ার পাশাপাশি নিজের পারিশ্রমিক ও বাড়ানো যেতে পারে ।
৪) পরিশ্রম করার মনমানসিকতা এবং ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে ।
৫) কোন কাজ সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা না থাকলে এবং কাজটি করতে পারব কিনা এ নিয়ে সন্দেহ থাকলে অবশ্যই আগে রিচার্জ করে নিতে হবে ।
শেষ কথা
আশা করছি ফ্রিল্যান্সিং কি আউটসোর্সিং কি এর সুবিধা অসুবিধা গুলো কি কি এ সম্পর্কে আপনারা সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এই ব্লগ থেকে এবং নিজেদের জন্য এর মধ্যে কোনটি সঠিক পথ সেটি বেছে নিতে সক্ষম হবেন। ধন্যবাদ ।
Search
Categories
Popular Tags